Wednesday 11 November 2015

"Blood Diamond" - রক্তের দামে কেনা সম্পদ এর গল্প !!

_________________________________________
রক্তের দাম দিয়ে যে ডায়মন্ড কিনতে হয়, সেই ডায়মন্ড কিংবা হীরা নাগরিক সমাজে সম্মান- মর্যাদা বৃদ্ধির মাপকাঠি হলেও , এর পিছনের গল্পগুলো তাকে নিদারুণ কষ্ট ও যন্ত্রণার । টাকা দিয়ে সম্পর্ক যেমন হয়না , ঠিক এই টাকা ছাড়াই কাছের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো অসম্ভব । "Blood Diamond" ছবিটিতে দারুণ কিছু মুভমেন্ট দেখার মতন ছিল লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও'র , তার আচার-আচরণ সবকিছু ছবিতে তার চরিত্রের সাথে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে । আর তার অনুসন্ধানী চোখ দারুণ লেগেছে , যেন কোথায় কার মাঝে কি আছে সব যেন তার নখদর্পণে ,সব যেন তার জানা ।
সম্পদ একটা দেশকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা এনে দিতে পারে ঠিক তেমনি নিয়ে আসতে পারে সেই দেশে সংঘাত এবং সহিংসতার পরিস্থিতির । সেই দেশের মানুষের জীবনে নিয়ে আসতে পারে দুর্বিষহ অবস্থা । আফ্রিকার একটি দেশ সিয়েরা লিওন, যেখানে প্রকৃতিগতভাবেই পাওয়া যায় হীরা বা ডায়মন্ড । আর তা নিয়েই সমগ্র দেশজুড়ে অস্থিরতা । হানাহানি, মারামারি , সহিংসতা লেগে থাকে সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপের মাঝে । অল্প বয়সী ছেলেদের যুক্ত করা হয় সেইসব গ্রুপে । তারপর মানুষ মারার এক দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাদের । মানবতা যেন এখানে ভুলন্থিত , কে কার রক্ত নিবে কে কার উপরে থাকবে তার যেন অসম চেষ্টা । কিন্তু এই নিষ্ঠুর চেষ্টা সেই দেশের সাধারণ মানুষের জীবন যে কতটা দুর্বিষহ করে তোলে তার ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যথাই নেই । আর নিজেদের সাথে সহিংসতার পাশাপাশিতো আছেই অন্যদেশের আগ্রাসী মনোভাব । আর এই সবকিছু নিয়েই গড়ে উঠেছে "Blood Diamond" মুভিটি ।আসলেই যথার্থ নাম দেওয়া হয়েছে ছবিটির এর কাহিনীর সাথে ।
একজন মৎস্যশিকারি, একজন স্মাগলার এবং একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকদের নিয়ে "Blood Diamond" মুভির কাহিনী মূলত এগোতে থাকে । যেখানে হীরার জন্যে স্মাগলার এবং একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট হন্যে হয়ে ছুটে । আর এই স্মাগলার চরিত্রে অভিনয় করেছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও আর মৎস্যশিকারি চরিত্রে অভিনয় করেছে ডিজিমন হনশু । চমৎকার অভিনয় দেখিয়েছে তারা দুজন তাদের নিজ নিজ চরিত্রে । একজন স্মাগলার হিসেবে সবসময় এক অনুসন্ধানী দৃষ্টি ছিল সব দিকে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও । কোথায় কিভাবে কার ডায়মন্ড পাওয়া যাবে , নেয়া যাবে তার পিছনে হন্যে হয়ে সমগ্র ছবিজুড়ে তার বিচরণ দেখা যায় আর মৎস্যশিকারি সলোমন ভেনডি (ডিজিমন হনশু) সবসময় সজাগ থাকে তার পরিবারকে নিয়ে। ছবিতে তারই এক অস্থির চিত্র ফুটে উঠে । জীবন যেন তাদের বাঁধা পড়েছে সিয়েরা লিওনে এক দ্বিধা ও দন্দের মাঝে । তার এক জাজ্বল্যল্যমান দৃশ্য ফুটে উঠেছে ছবি জুড়ে ।
ছবিটি একশনের মুভি হলেও মুভি ভর্তি আবেগ , ভালোবাসা সবই বিরাজমান । মানুষ যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তার প্রয়োজনে তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ "Blood Diamond" মুভিটি । একজন মানুষের পরিবার রক্ষা করা নিয়ে যেখানে শংকা সেখানে আবার ডায়মন্ডের লোভে হন্যে হয়ে ঘুরছে আরেকদল মানুষ । খুন কিংবা মৃত্যু কোন কিছুই যেন তাদের দমাতে পারেনা ডায়মন্ড পাওয়ার লোভ থেকে আফ্রিকার এই দেশ সিয়েরা লিওনে।
২০০৬ সাল মুক্তি পাওয়া চার্লস লিভেট ও সি গ্যাবি মিশেল এর লেখা গল্প অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করে পরিচালক এডওয়ার্ড জিউক । ১৪৩ মিনিটের এই ছবির কাহিনী ,দৃশ্যায়ন সবকিছুতেই আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে ডায়মন্ড নিয়ে হওয়া পরিস্থিতি ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে । মানবতা যে পরাজিত হয় মানুষের সম্পদের লোভের কাছে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ছবি । ছবির দৃশ্যায়নগুলো খুব চমৎকার ছিল । প্রেস কিংবা মানুষের জীবন কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সবকিছু দারুণ ছকে ফ্রেমে আবদ্ধ করেছেন পরিচালক এডওয়ার্ড জিউক । আর ছবিজুড়ে Leonardo DiCaprio, Djimon Hounsou এর অভিনয় দারুণভাবে টেনে নিয়ে যায় ।

লিওনারদো ডি ক্যাপ্রিওর ৪১ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা!

লিও এর ব্যাপারে যে ১৩টি তথ্য বেশীরভাগ লোকই জানেন নাঃ
১) মাত্র ১০ বছর বয়সে তার এজেন্ট তাকে উপদেশ দিয়েছিলো তার নাম পাল্টে আরেকটু আমেরিকান ধাচেঁর নাম রাখতে। যেমনঃ লেনি উইলিয়ামস। বলা বাহুল্য, তার সে উপদেশের ধার লিও ধারেননি।
২) ১৯৯৮ সালে তিনি প্লেগার্ল ম্যাগাজিনের নামে মামলা করেছিলেন তার শরীরের সম্মুখ ভাগের সম্পূর্ণ নগ্ন ছবি ছাপাবার দায়ে।
৩) তার প্রিয় পরিচালক হচ্ছেনঃ Martin Scorsese.
৪) লিও ‘ম্যারিয়ন কটিলার্ড’ আর ’কেট উইন্সলেটের’ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উল্লেখ্য, এই দুইজনই নায়িকা হিসেবে আমার ভীষন প্রিয়।
৫) রিভেলুশনারি রোড মুভির শুটিং শেষ হবার পর তিনি কেটকে একটা খাটিঁ সাদা সোনার আংটি উপহার দেন। আংটির উপরে একটা বাক্য খোদাই করে লেখা ছিলো। কিন্তু সে বাক্যটি কি, সেটা কেট আজ পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেনি। কেট তাকে ভাবেন, লিও এই প্রজন্মের সবচাইতে তুখোড়, মেধাবী ও চৌকষ অভিনেতা।
৬) স্পাইডারম্যান-খ্যাত টবি ম্যাগুয়্যের তার বাল্যবন্ধু।

LIVE FROM DHAKA | ABDULLAH MUHAMMAD SAAD | MEDIASCOPE

LIVE FROM DHAKA “ আমি কোন নবি-রাসূল নয়, আমি একটা মানুষ, আমার সহ্যের একটা লিমিট আছে।“ -       সাজ্জাদ  (লাইভ ফ্রম ঢাকা) আমাদের ...