হুমায়ূন আহমেদের শেষ উপন্যাস 'দেয়াল' পড়ে শেষ করলাম আজকে। আজকে মৃত্যু বার্ষিকী হিসেবে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শেষ করা এমনটা না। দুই দিন আগে বাসে পড়া শুরু করেছিলাম, আজকের মিরপুর ২ এর জ্যামে এসে শেষ হলো এই আরকি। এমনিতে আমার মানুষের জন্ম মৃত্যু দিবস খুব একটা মনে থাকে না। যেবার আম্মা হাসপাতালে ছিল নিজের জন্মদিনের কথাও ভুলে গিয়েছিলাম। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেখে বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের জন্ম -মৃত্যু দিবসের তারিখ নজরে আসে এই যা। আরও একটি বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো। আমি খুব ভালো পাঠক না। মাঝে মধ্যে দুই একটা বই পড়ি। ১২ সালে যখন স্যারের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছিলাম, তখন কেমনজানি একটা শূন্যতা অনুভব করলাম। খেয়াল করলাম চোখের কোনে জল ঝমছে। আমি কিন্তু তখন হাতে গোনা কয়েকটা বই পড়েছিলাম মাত্র। তাছাড়া সচরাচর বিখ্যাত ব্যক্তিদের মৃত্যুর সংবাদে আমাকে খুব একটা নাড়া দেয় না। সংবাদ শোনে ব্যথিত হই, আবার ঠিক হয়ে যায়....
এবার 'দেয়াল' নিয়ে কথা বলা যাক-
এবার 'দেয়াল' নিয়ে কথা বলা যাক-
ছবি- Musleha Yasmin Mitu
'দেয়াল' একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। যেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যা থেকে শুরু করে মেজর জিয়া হত্যা পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। শুরুর দিকে পড়ে তেমন একটা উপভোগ করছিলাম না। বারবার এরকম মনে হচ্ছিল লেখক চরিত্রগুলো বুনতে ব্যর্থ হচ্ছে। মাথার মধ্যে লেখকের 'জোছনা ও জননীর গল্পের' সঙ্গে তুলনা চলে আসছিল। লেখক 'জোছনা ও জননীর গল্পে' যেরকমভাবে চরিত্রগুলো একেছিলেন ঠিক সেরকমটা হয়ে উঠছে না। লেখায় তারাহুরা, গল্প শেষ করতেই হবে এরকম ইচ্ছা। সম্ভবত লেখক বুঝতেই পেরেছিলেন তার হাতে বেশি একটা সময় নেই। আবার পড়তে পড়তে গল্পের ভিতরে ঢুকে গেলাম। 'দেয়াল' বেশ বিতর্কিত উপন্যাস। প্রথম আলোতে কিছু অংশ প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিতর্কের সৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ালো। বাকিটা সবারি মোটামোটি জানা। বইটা পড়ার পর একটা আগ্রহ রয়ে গেল, হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকলে উপন্যাসটা ঠিক কোথায় শেষ করতেন তা জানার জন্য।
No comments:
Post a Comment