ইরানি ভাষার মুভি আমি খুব একটা দেখি নি। যতগুলো দেখেছি সবগুলো বেশ ভাল ছিল। গত রাতে দেখলাম The stoning of Soraya m. দেখার পর শুধু মাথায় ঘুরছিল মুভিটা কি আসলেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি?
একজন আমেরিকান সাংবাদিকের গাড়ি ইরানের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়। একজন মাঝ বয়সী নারী অনেক চেষ্টা করছিল, কিভাবে এই সাংবাদিকের সাথে কথা বলা যায়। গ্রামের লোকজন ঐ মাঝবয়সি নারিকে অর্ধ উন্মাদ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল সাংবাদিকের কাছে। পরে নানা চেষ্টা করে সাংবাদিকের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়েছিল। মাঝবয়সী মহিলার নাম ছিল যাহ্রা আর সাংবাদিকের নাম ছিল Freidoune Sahebjam
একপর্যায়ে সাংবাদিক যাহ্রার আমন্ত্রণে যাহ্রার বাড়িতে যায় এবং যাহ্রার কথা শোনে। যাহ্রা সাংবাদিককে বলল আপনি আমার ঘটনা শোনার পর বলবেন উন্মাদ আমি নাকি ওরা।তারপর যাহ্রা সাংবাদিককে শোনাল এক নিষ্ঠুর গ্রামের গল্প। যে গ্রামে জেনাহ করার অপবাদে একজন নির্দুষ মেয়েকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়।
পরবর্তিতে Freidoune Sahebjam বই লিখেন এই ঘটনার উপর।মূলত এই বই থেকেই ছবিটি অনুপ্রাণিত। যদিও একটু ঘাটাঘাটি করে দেখলাম ইরান এই ঘটনা স্বীকার করে নাই। স্বীকার না করাটাও স্বাভাবিক।
এই মুভিতে ধর্মীয় আনুভুতিতে আঘাত হানার কোন চেষ্টা করে নাই। কিভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করে মানুষ নিজেদের ফায়দা লুটছে এই মুভিতে তাই দেখানো হয়েছে। এই মুভিতে দেখানো হয়েছে ঐ সময় ইরানে মেয়েদের অধিকার কেমন ছিল।দেখানো হয়েছে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের মগজে কিভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এইটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এখানে মেয়েদের কোন অধিকার নেই। জানি না এখনকার ইরানের কি অবস্থা। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা চিন্তা করেন না দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখানেও ধর্মকে যে যেভাবে পারছে ব্যাবহার করছে।
No comments:
Post a Comment